সুস্থ হওয়ার পথে বিয়ানীবাজারে ফুটবল খেলা শেষে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত সাকের আহমদ। দীর্ঘ ২৪দিন সিলেট ও ঢাকায় চিকিৎসা শেষে সে শীঘ্রই বাড়ি ফিরবে।

আবারও প্রিয় ফুটবল খেলা দেখতে হয়তো ছুটে আসবে পিএইচজি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। কিন্তু সাকেরের উপর হামলাকারিরা কি তখন তার উপর পুনরায় হামলা করবে। ধরাোঁয়ার বাইরে থাকা দুই হামলাকারি বিষয়ে তার স্বজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। হামলাকারিদের সনাক্ত করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন স্বজনরা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হামলাকারিদের গ্রেফতার করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে তাদের এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে উৎসাহিত করা হলো। ক্ষোভের পাশাপাশি সাকের সুস্থ হওয়ায় তারা স্বস্থি প্রকাশ করেন এবং মাহি উদ্দিন সেলিমের জন্য আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করেন।

গত ৫ এপ্রিল মাহা-বিয়ানীবাজার উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে দুর্বৃত্তের হামলায় সাকের আহত হয়। তাকে পঞ্চখণ্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর তৃতীয়তলা থেকে হামলা করে নীচে ফেলে দেয় ;দুই যুবক। সাকের জানায়, তাদের পরনে লাল ও সাদা টিশার্ট ছিল। দেখলে তাদের সে চিনতে পারবে।
মহানুভব মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম সাকেরের পুরো চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে এ পর্যন্ত লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। আহত হওয়ার পর সিলেট ওসমানি হাসপাতাল থেকে তাকে বিশেষায়িত হেলিকপ্টারে করে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। সেখানে ভারতের নিওরো চিকিৎসক অধ্যাপক কৃষ্ণপ্রভু তার মাথায় অস্ত্রপচার করেন। এরপর লিভার ও লাঞ্চে জটিলতা দেখা দিলে তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। সেখান থেকে সুচিকিৎসায় সাকের পুরো সুস্থ হয়ে উঠেছে।

সাকেরকে মুখে তরণ খাবার দেয়া হচ্ছে। আগামী দুএকদিনের মধ্যে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হবে।

সাকেরে বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের উত্তরপাড় এলাকায়। মা বাবা একমাত্র পুত্র এবং তিন বোনের একমাত্র ভাই সাকের অটোরিক্সা চালিয়ে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতো।